আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আসামের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবারও বাংলাদেশী অভিবাসীদের নিয়ে সরব বিজেপি। আর কংগ্রেস বলছে রাজ্যে সম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে জাত-পাতের তাস খেলে নির্বাচনে ঘোলা জলে মাছ স্বীকার করতে চায় বিজেপি। আগামী এপ্রিল মাসে আসামে বিধানসভা নির্বাচনের কথা রয়েছে।
বিজেপির দাবী আসামের নাগরিকদের পরিচয়ের ওপর বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশী অভিবাসীরা। যদি বিজেপি ক্ষমতায় যায় তাহলে আসামের নাগরিকদের পরিচয়(আইডেনটিটি) রক্ষা করবে। অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে এমন বক্তব্য রেখেছেন আসামে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার সর্বানন্দ স্যান্নাল। তিনি বাংলাদেশী অভিবাসীদের আসামের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেন।
গত মাসেই আসাম বিজেপির দায়িত্ব হাতে নেন সর্বানন্দ। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের নেয়ার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। উল্লেখ্য, এ বছর এপ্রিলে আসাম বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিজয়ী হতে বিজেপি আবার অবৈধ অভিবাসী কার্ড ব্যবহার করছে। গত দুইবছর আগে লোকসভা নির্বাচনের সময় একবার আসামে অবৈধ অভিবাসী, বিশেষ করে বাংলাদেশীদের বিতাড়িত করার বিষয়ে বক্তব্য জোর প্রচার পায়। পারে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর ইস্যুটা নিয়ে আর উচচ বাচ্য করেনি বিজেপি। আর এখন সেই একই কার্ড আবারও ব্যবহৃত হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচনের আগে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সর্বানন্দ স্যান্নাল বাংলাদেশী অভিবাসী ইস্যুর দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, আসামে বর্তমানে স্থানীয় নাগরিকের সংখ্যা কমে তারা ‘আণুবীক্ষণিক সংখ্যালঘু’তে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশী অভিবাসীদের ইঙ্গিত করে বিজেপি নেতা সর্বানন্দ বলেন, "এসব মানুষ (অভিবাসী) আসামের মানুষের শত্রু।" তিনি বলেন, এখনও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ অব্যাহত আছে। যদি তার দল ক্ষমতায় যায় তাহলে এ ইস্যুতে টেকসই একটি সমাধান বের করবেন তারা। কারণ, এ ইস্যুটি আসামের মূল সমাজ ব্যবস্থার জন্য হুমকি।
ওদিকে বিজেপি নেতা অভিবাসী ইস্যুতে দেওয়া উত্তেজনাকর ব্ক্তব্যের জবাবে আসামে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস বলছে, "আসন্ন নির্বাচনের আগে আসামে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিজেপি।" অবশ্য এর জবাবে বিজেপি নেতা সর্বানন্দ বলেছেন, "এটা আসামের জনগণের পরিচয়ের প্রশ্ন। সে অধিকার রক্ষা করতে বিজেপি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।" উল্লেখ্য, সর্বানন্দ আগাগোড়া বাংলাদেশী বিরোধী হিসেবে আসামের রাজনীতিতে পরিচিত মুখ । তিনি যখন ছাত্রনেতা ছিলেন তখনই তিনি বাংলাদেশ বিরোধী বড় আকারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এসময় অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের নেতৃত্বে ছিলেন সর্বানন্দ ।