আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভয়াবহ তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত আমেরিকা উপকুল। দেশটির ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্কসহ, বালটিমোর মেরিল্যান্ড, নর্থ ক্যারোলাইনা, ভার্জিনিয়া,পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যে সহ যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের রাজ্যগুলির জনজীবন বিপন্ন। এক থেকে দেড় বরফ পড়েছে এলাকা গুলোতে। গত দুইদিনে সুর্যের দেখা মেলেনি। ঝড় শেষে এসকল অনচলে বন্যার আশংকা করছে যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া বিভাগ। এজন্য মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এলাকায় খাদ্য সংকট তৈরী হয়েছে।বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বেশ কিছু সহানে। খাবারের দোকান ও পেট্রোল পাম্পের মজুদ ফুরিয়ে গেছে। মানুষ দুর্যোগকালিন সময়ের জন্য খাদ্য ও জ্বালানি সংগ্রহ করতে পারছে না। সোমবারের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না বলছে আবহাওয়া দপ্তর ।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার ও শনিবার ৬ হাজার ৬০০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, বিলম্বিত হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশী ফ্লাইট। এবারের তুষারঝড়ের মাত্রা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে। নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন সহ ১০ টি রাজ্যে জরুরী আস্হা ঘোষনা করা হয়েছে। সব বাসিন্দাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ঘরের বাইরে না যেতে। সকল স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
আমেরিকার অন্তত ২০টি রাজ্যের সাড়ে আট কোটি মানুষ এখন তুষারঝড়ের কবলে রয়েছে বলে জানা গেছে।টেনেসি এবং নর্থ ক্যারোলাইনাকে বিধসথ করে এই ভয়াবহ তুষারঝড়টি ভার্জিনিয়া এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে হামলে পড়ে শুক্রবার দুপুরেই। তুষারঝড়ে এপর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।
৬০ থেকে ৬৫ মাইল বেগের এ তুষারঝড়ের কারনে
রাজধানীর সব রেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী সোমবার ভোর পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।
উল্লেখ্য গত ৯০ বছরের মধ্যে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এ এলাকার মানুষ দেখেনি। ১৯২২ সালের পর এটি হচ্ছে সবচেয়ে মারাত্মক তুষারঝড় । জরুরী আপৎকালিন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ওয়াশিংটন ডিসিতে ৩০০ এবং নিউ ইয়র্ক সিটিতে ন্যাশনাল গার্ডের ৬০০ সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোনো ধরনের প্রয়োজনে পুলিশ এবং দমকল বাহিনীতে ছুটি বাতিল করে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। এছাড়াও তুষারঝড়ের কারণে কোথাও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে অথবা অন্য যে কোনো সমস্যায় আক্রান্তদের কাছের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।