আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ৪২ বছর ধরে নিখোঁজ থাকার পর হারিয়ে যাওয়া এক নারীকে অবশেষে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয় আমেরিকার টেক্সাসের পুলিশ। লুলা এন গিলেস্পি নামে সেই নারী এতদিন টেক্সাসের একটি জায়গায় ছদ্মনামে বসবাস করে আসছিলেন। ১৯৭৪ সালে মাত্র ২৮ বছর বয়সে তৃতীয় সন্তান জন্মদানের পর তিনি নিখোঁজ হন।
ইন্ডিয়ান স্টেট পুলিশ বলেন, লুলা ভেবেছিলেন, একজন মা হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি বয়সে খুব ছোট। তাই সন্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ডোয়ি নেটওয়ার্ক নামে একটি সেচ্ছাসেবক সংস্থা হারিয়ে যাওয়া মানুষদের খোঁজ নিয়ে থাকে। তাদের অনুরোধে ইন্ডিয়ান স্টেট পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তা সারজেন্ট স্কট জারভিস ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে রহস্যময়ভাবে লুলার এই হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিজ হাতে নেন।
স্বজনদের ধারণা ছিল ১৯৭৫ সালেই মারা গেছেন লুলা। কিন্তু, ডিএনএ পরীক্ষায় পুলিশ জানতে যে কবরটিকে লুলার বলে ভাবা হচ্ছিল, সেটা আসলে লুলার নয়, অন্য কারো । ফলে জীবিত লুলাকে খুঁজতে তৎপর হয় পুলিশ।
এরপর দীর্ঘ খোজাখুজির পর লুলা এন গিলেস্পিকে টেক্সাস শহরের একটি বাড়ি থেকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হয় । সেখানে তিনি ১৯৯০ সাল থেকে ছদ্মনামে বসবাস করছিলেন। পুলিশের জেরার মুখে অবশেষে তার আসল পরিচয় স্বীকার করেন তিনি ।
পুলিশ বলেন, কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল না লুলা । তার বর্তমান পরিচয় সে গোপন রাখতে ইচ্ছুক ছিল। তার ছোট মেয়ে মিলার, যাকে তিনি কোনো দিনই চিনতেন না, তার সঙ্গে অবশেষে দেখা করতে রাজি হন তিনি। যদিও গত ৪২ বছরের বেশি সময় মৃত ভাবা হচ্ছিল লুলাকে । কিন্তু অবশেষে তাকে জীবিত উদ্ধার করা গেল ।