News71.com
 International
 17 Mar 17, 11:54 PM
 185           
 0
 17 Mar 17, 11:54 PM

ধর্মীয় অবমাননা বন্ধে ফেসবুক কতৃপক্ষের সহায়তা চেয়েছেন পাকিস্তান সরকার.....

ধর্মীয় অবমাননা বন্ধে ফেসবুক কতৃপক্ষের সহায়তা চেয়েছেন পাকিস্তান সরকার.....

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাকিস্তানিদের পোস্ট করা ‘ধর্মীয় অবমাননামূলক বিষয়বস্তু’ তদন্তের কাজে ফেসবুকের সহায়তা চেয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানান, পাকিস্তান সোশাল মিডিয়া সাইটগুলোতে 'ব্লাসফেমাস' কনটেন্ট নিয়ে আপত্তির বিষয় যাতে মোকাবেলা করতে পারে তা দেখতে ফেসবুক পাকিস্তানে একটি দল পাঠাতে রাজি হয়েছে। যদিও পাকিস্তানে প্রতিনিধিদল পাঠানোর ব্যাপারে ফেসবুক এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্য করেনি। এপি বার্তা সংস্থা ফেসবুকের একটি বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে জানায়, ‘ফেসবুক পাকিস্তান সরকারের অনুরোধকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। আমরা আমাদের সেবাদানের শর্ত এবং আইন মেনে অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করে থাকি। এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুরোধ রক্ষা করতে হলে পারস্পরিক আইনী সহায়তা বিষয়ক চুক্তি বা আনুষ্ঠানিক অনুরোধের প্রয়োজন হবে।’

পাকিস্তানে ধর্মীয় অবমাননা খুবই স্পর্শকাতর বিষয়, যা অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। ব্লাসফেমি আইনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে এবং সমালোচকরা বলেন পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের দমন করতে প্রায়ই এই আইনের অপব্যবহার করা হয়। সমালোচকরা মনে করেন, ভিন্নমতাবলম্বীদের উপর দমনপীড়ন চালাতেই সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ সোশাল মিডিয়ায় ধর্মীয় অবমাননাকর বিষয়বস্তু প্রকাশ বন্ধে ব্যাপক অভিযান চালানোর পক্ষে মত দেন। তার দপ্তরের আনুষ্ঠানিক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ব্লাসফেমিকে ‘ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ’ বলে উল্লেখ করা হয়।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধরী নিসার পুনরাশ্বাস দেন বিষয়টি মোকাবেলায় পাকিস্তান অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে নওয়াজের বার্তা পৌঁছে দিতে প্রয়োজনীয় যে কোনোরকম ব্যবস্থা নেয়া হবে। কর্মকর্তাদের আমি প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এবং সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশ দিয়েছি।’নিসারের উদ্ধৃতি দিয়ে পাকিস্তানের ডন নিউজ জানায়, ‘যেসব ব্যক্তি এসব ধর্মীয় অবমাননাকর কনটেন্ট দিচ্ছে তাদের সম্পর্কে সবরকম তথ্য ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশাল মিডিয়া সেবাদানকারী সংস্থাগুলোকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতে হবে।’

ঠিক কী ধরণের ধর্মীয় অবমাননাকর কনটেন্ট অনলাইনে দেখা গেছে সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য জানানো হয়নি। তবে অতীতে নবীকে অবমাননা করে অথবা কোরানের সামলোচনা বা অপব্যাখ্যা করে নানাধরনের কনটেন্ট অনলাইনে এসেছে। পাঁচজন মুক্তমনা ব্লগার সম্প্রতি নিখোঁজ হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় ধর্মীয় অবমাননাকর বিষয় পোস্ট করার অভিযোগ আনা হয়। গভীরভাবে রক্ষণশীল একটি দেশের জন্য এটা খুবই গুরুতর অভিযোগ। এধরনের অভিযুক্তরা সহজেই জনরোষের শিকার হয়। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে আগেও অশ্লীল সাইট বা ইসলাম বিরোধী সাইট বন্ধের ঘটনা ঘটেছে এবং ২০১০ সালে নবীকে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য প্রকাশের জন্য দেশটির একটি আদালতের নির্দেশে ফেসবুক বন্ধও করে দেওয়া হয়েছিল।

Comments

নিচের ঘরে আপনার মতামত দিন