নিউজ ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে দুইজন মেয়র প্রার্থী এবং কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে মোট ৪৪ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। রোববার (২০ ডিসেম্বর) মনোনয়ন পত্র দাখিরের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিল পদে প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩০ এবং সংরক্ষিত ৩টি মহিলা ওয়ার্ডে মোট ১২ জন নারী প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে প্রায় সকল প্রার্থীকেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে দেখা গেছে। নির্বাচনী আচরণবিধির ১১ ধারার ১ নং উপধারায় উল্লেখ রয়েছে- ‘মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল কিংবা শো-ডাউন করা যাইবে না বা প্রার্থী ৫ জনের অধিক সমর্থক লইয়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারিবেন না।’
কিন্তু রোববার দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনিত মেয়র পদপ্রার্থী রাশিদা বেগম ন্যান্সি প্রায় দুই শতাধিক কর্মী সমর্থক নিয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে যান। বিকাল ৪টার দিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম চৌধুরীও একই পথ অনুসরণ করে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ নিয়ে শোডাউনসহ উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে উপস্থিত হন। যা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এছাড়া অন্যান্য পদের প্রায় সকল প্রার্থীরাই ছোট-বড় মিছিল সহকারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হন। এসময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক পড়ে যায়। এর আগের দিন যেসকল প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন তারাও শোডাউন নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হন।
এব্যাপারে ছাতক উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ ফয়েজুর রহমান জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি সম্পর্কে সকল প্রার্থীকে অবহিত করা হয়েছে। তবে প্রার্থীদের সবাই এটি ভঙ্গ করেছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আগামীতে কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ছাতক পৌরসভার পঞ্চম নির্বাচনে এবার ৩০হাজার ২৮০জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি।