
নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ক্যাম্পের বাইরে বসবাসরত উর্দু ভাষী অবাঙালিদের উচ্ছেদ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতিবস্থা জারির আদেশ আরও ৬ সপ্তাহ বৃদ্ধি করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৪ বিচারপতির বেঞ্চ। আর এর আগে গত ১৬ মে স্থিতিবস্থা জারি করেছিল আপিল বিভাগ।
গত ২৯ মার্চ হাইকোর্ট এক রায়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ক্যাম্পের বাইরে বসবাসরত উর্দু ভাষী অবাঙালিদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ক্যাম্পে বসবাসরতদের মধ্যে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তাদেরকে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসন করতে সরকারকে বলা হয়। হাইকোর্টের এই রায়ের ওপর স্থিতিবস্থা চেয়ে দুটি আবেদন দায়ের করে রিটকারী পক্ষ।
এই আবেদনে বলা হয়, হাইকোর্টের রায়ে পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি এখনো প্রকাশ পায়নি। এর রায় পেলে লিভ টু আপিল দায়ের করা হবে। আবেদনের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মাহবুবুর রহমান, রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন। জানা গেছে, ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষী অবাঙালিরা উচ্ছেদের আশংকা থেকে ২০০২ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন উর্দু স্পিকিং পিপলস ইউথ রিহাবিলিটেশন মুভমেন্ট (ইউএসপিওয়াইআরএম) এর সভাপতি মো. সাদাকাত খান (ফাক্কু) ও শহিদ আলী বাবলু।
আবেদনে আরও বলা হয়ছে, দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে অমানবিক জীবনযাপন করে আসছেন প্রায় ৪ লক্ষ উর্দুভাষী। ১৯৯৫ সাল থেকে এসব উর্দুভাষীদেরকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র শুরু হয়। ২০০২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন মিরপুরের পল্লবীতে প্রায় ৩৯টি ছোট-বড় ক্যাম্প বিনা নোটিশে উচ্ছেদের কার্যক্রম গ্রহণ করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। তখন হাইকোর্ট ক্যাম্পে বসবাসরতদের পুনর্বাসন বা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরবর্তীতে ক্যাম্পে বসবাসরতদের উচ্ছেদ নিয়ে আরো ৮টি মামলা হয়। এসব রিট মামলার রুলের উপর একত্রে হাইকোর্টে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৯ মার্চ আদালত ৯টি রিটের ওপর জারিকৃত রুল কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দিয়ে খারিজ করে দেয়।