
নিউজ ডেস্কঃ আগামীকাল শনিবার থেকে শুরু হবে লাখ লাখ ভক্তের সমাগমে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২০৬-তম জন্ম তিথিতে স্নানোৎসব ও বারুনী মেলা। এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় স্নানোৎসব ও মেলা। অনুষ্ঠানটি সফল ভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্নানোৎসব ও মেলা উদ্যাপন কমিটির পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার বিকাল ৩টা থেকে হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসূরী ও স্নানোৎসব কমিটির সভাপতি পদ্মনাভ ঠাকুর এই স্নানোৎসবের উদ্ভোধন করেন। সঙ্গে থাকবেন, সচিপতি ঠাকুর, হিমাংশুপতি ঠাকুর, অমিতাভ ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুর ও সুপতি ঠাকুর শিবুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। স্নান চলবে আগামী রোববার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত।
এই উৎসবকে সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে ঠাকুর বাড়ি এলাকায় উচ্চ পর্যবেক্ষণ চৌকি ও সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি মতুয়া সংঘের ৩ শাতাধিক স্বেচ্ছাসবকরা সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। লাখ লাখ মতূয়াভক্ত ও হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের ভক্তরা এখানে স্নান করে পাপ মোচনের জন্য। স্নানোৎসব উপলক্ষে বসে মহাবারুনী মেলা। চলবে তিন দিন। মেলায় কুঠির শিল্পের সামগ্রী, বিভিন্ন খেলনা, মাটির জিনিস, বাঁশের জিনিস, খাদ্য সামগ্রীসহ নাগর দোলনাসহ শিশুদের বিনোদনের জন্য নানা আয়োজন।
হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসূরী কাশিয়ানী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন স্থান ও ভারত, নেপাল এবং শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশের মতুয়া ভক্তরা এ স্নানোৎসবে যোগ দেবেন। হাতে বিজয় ও সত্যের লাল নিশান এবং ডাংখা (বড় ঢোল) বাজিয়ে উলু ধ্বনি দিয়ে মাইলের পর মাইল পথ পায়ে হেটে মতুয়া অনুসারীরা ছুটে এসেছেন তীর্থভূমি শ্রীধাম ওড়াকান্দিতে। বাস, ট্রাক, নসিমন, করিমন, ইজি বাইক, থ্রি-হুইলার ও নৌ-পথে নৌকা ও ট্রালারে করেও মতুয়াভক্তরা এখানে আসেন। ভক্তরা প্রথমে কামনা ও পরে শান্তি সাগরে (বড় আকৃতির পুকুর) স্নান করে থাকেন।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানটিকে নিরবিচ্ছিন্ন করতে ২০০ পুলিশ সদস্যের একটি শিপটিং তালিকা তৈরি হয়েছে। এছাড়া কমিটির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবকও থাকবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান বলেন, স্নানোৎসবকে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যেহেতু এখানে বড় ধরনের জমায়েত হয়, সেই কারণে ঠাকুরবাড়ির প্রবেশ পথে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পর্যাপ্ত পানি ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে পর্যবেক্ষণ চৌকিও ওয়াচ টাওয়ার ।