News71.com
 Bangladesh
 11 Oct 17, 05:55 AM
 1129           
 0
 11 Oct 17, 05:55 AM

চুয়াডাঙ্গার যুবক উপল উদ্ভাবন করলেন সৌরবিদ্যুৎ চালিত নৌকা।।  

চুয়াডাঙ্গার যুবক উপল উদ্ভাবন করলেন সৌরবিদ্যুৎ চালিত নৌকা।।   

নিউজ ডেস্কঃ সম্পূর্ন নিজের উদ্ভাবনি শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সৌর বিদ্যুৎ চালিত নৌকা তৈরী করলেন বাংলাদেশের সীমান্ত জেলা চুয়াডাঙ্গার যুবক উপল। এভাবেই দেশের আনাচে-কানাচে অনাদরে অবহেলায় পড়ে থাকা যুবসমাজ তাদের উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যার অন্যতম উদাহরণ চুয়াডাঙ্গার তরুণ প্রকৌশলী আহমেদুল কবীর উপল। যার উদ্ভাবিত সৌরবিদ্যুৎ-চালিত নৌকা দেশে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। চুয়াডাঙ্গায় উদ্ভাবিত দেশের প্রথম সৌরবিদ্যুৎ-চালিত নৌকা চড়ে এ মন্তব্য করেন টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- স্রেডা’র পরিচালক শেখ রিয়াজ আহমেদ। আজ তার সাথে বুয়েট ও ইউএনডিপি’র একটি প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গার আলোকদিয়া গ্রাম সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীতে এ নৌযান পরিদর্শনে আসেন।

চুয়াডাঙ্গার তরুন উদ্ভাবক প্রকৌশলী আহমেদুল কবীর উপল জানিয়েছন , ইউএনডিপির অর্থায়ন এবং স্রেডোর পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষামূলকভাবে সৌরবিদ্যুৎচালিত পাঁচটি নৌকা তৈরির কাজ চলছে। চুক্তি অনুযায়ী দুটি নৌকা সনাতন পদ্ধতির ডিজেল ইঞ্জিন ও সৌরবিদ্যুতের মিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে। বাকি তিনটি আধুনিক প্রযুক্তিসহ সৌরবিদ্যুত চালিত হবে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সোলার-ই-টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাইমুল ইসলাম জানান,পরিবেশের সুরক্ষা ও জ্বালানী ঘাটতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে এ প্রযুক্তি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। আগামী বিদ্যুতের যে চাহিদা তৈরি হবে তা পূরণ করতে হলে সকল ক্ষেত্রে সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে হবে। তাছাড়া নৌযান থেকে নিসৃত তেলের কারণে মারাত্মক নদী দূষণ হচ্ছে। এ কারণেই সৌরবিদ্যুৎ-চালিত নৌযান উদ্ভাবন সময়ের দাবি।

পরিদর্শকদল নৌকাভ্রমণ শেষে এই উদ্ভাবনকে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নের ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করেন। তারা বলেন,মোট ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫টি নৌকা তৈরি করা হচ্ছে। যার মধ্যে ২টিকে সনাতন ও আধুনিকতার মিশেল রাখা হয়েছে। কারণ হচ্ছে,যদি কখনো দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সৌরবিদ্যুৎ কাজ না করে,তখন ডিজেল ইঞ্জিন চালিয়ে নৌকাটিকে গন্তব্যে পৌঁছানোর সুযোগ থাকবে। আগের নৌকাগুলো চলার সময় ইঞ্জিনের শব্দ কানে লাগায় আমরা সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে শব্দ কমিয়ে আনতে বলেছিলাম। বর্তমানে তা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে।

Comments

নিচের ঘরে আপনার মতামত দিন